শব্দ (Sound) হল এক ধরণের শক্তি । যেটাকে পর-নির্ভর শক্তি (Dependence Energy)ও বলা যায় । শব্দ তরঙ্গ একটি মাধ্যম ছাড়া প্রবাহিত (Flow) হতে পারে না । যেমন, আমরা প্রতিনিয়ত শব্দের ব্যবহার করি বায়ু মাধ্যমে (Air Medium)। এছাড়াও, শব্দ কঠিন মাধ্যম (Solid) এবং তরল (Liquid) মাধ্যমে প্রবাহিত হতে পারে । শব্দ তরঙ্গ (Frequency) আকারে প্রবাহিত হয় । তরঙ্গ হল, একটি মাধ্যমের কণা (Particle) গুলোকে সংকুচন (Contraction)এবং প্রসারন (Expansion) এর মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় । নিচের ছবিটি লক্ষ্য করলে আপনি তরঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ভাবে বুঝতে পারবেন ।
শব্দ পরিমাপের একক (Standard) হল ,
হার্জ (Hertz) । শব্দ সাধারণত বায়ু মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ১২.৮ মাইল গতিতে প্রবাহিত হয় । প্রতি ১ সেকেন্ডে প্রবাহিত হয় ৩৪৩.৪ মিটার । তাহলে শব্দ ১ কিলোমিটার যেতে কতটুকু সময় লাগবে ? নিচের চিত্র থেকে জেনে নিন ।
|
চিত্রঃ প্রতি সেকেন্ডে শব্দের গতিবেগ হিসাব |
আপনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন । যেখানে মাইকে আপনি গান গাইছেন । আর ঠিক এক কিলো দূরে আপনার বন্ধু আপনার গান শুনতে পাচ্ছে । তাহলে শব্দের হিসাব থেকে বুঝায় যাচ্ছে যে, আপনার গানের আওয়াজ আপনার বন্ধুর কানে গিয়ে পৌছাতে প্রায় ৩ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে । অর্থাৎ, তিন সেকেন্ডের আগের কথা আপনার বন্ধু তিন সেকেন্ড পরে শুনতে পাবে । বিশ্বাস নাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন । অনুষ্ঠানে আপনার পরিচিত কাউকে ফোন দিন । আর ঠিক এক কিলো দূরে দাঁড়িয়ে আপনি ফোনে কথা বলে দেখুন । আশ্বর্য হলেও এটাই ঘটবে । আর আমি ফোনের কথা বলেছি কারণ, শব্দের গতিবেগ থেকে ল্যান্ডফোন টাওয়ার সিগন্যালের গতিবেগ ঢের বেশি ।
শব্দের এই তারতম্য শুধু এখানেই না ! যখন আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় তখনো আমরা উপলব্ধি করতে পারি । শব্দের চাইতে আলোর গতি অনেক বেশি তাই, মেঘের স্তর (
The Stratosphere) থেকে আলোর ঝলকানি (
Lightning) আমরা আগে অনুভব করতে পারি ।
শেয়ার করুন