আমরা যখন কম্পিউটারে কোন গান বা ভিডিও রাখি সেখানে জমা হয়ে থাকে । আমরা হার্ড ডিস্ক থেকে মুছে না ফেলা পর্যন্ত সে গান বা ভিডিও সেই ফোল্ডারেই পরে থাকে । ঠিক এমনটাই ঘটে মোবাইলের মেমোরিতে । ডিলেট না করা পর্যন্ত সেই গান বা ভিডিও বা ফাইলটি সেই জায়গায় পরে থাকে । মেমরির ভিতরে প্রত্যেকটি গান , ভিডিও , ছবি সব গুলোর এক একটি ড্যাটা ফাইল (Data File) । আর এই সবকিছু মেমোরিতে ধরে রাখার পদ্ধতিই হল ড্যাটাবেস (Database) । প্রযুক্তির বিশাল একটি আশির্বাদ এই ড্যাটা । ড্যাটা শব্দের অর্থ উপাত্ত । ড্যাটা আসলে একটি প্লোরাল (Plural Word) যার সিঙ্গুলার শব্দ হল ড্যাটাম (Datum) যার অর্থ উপাদান । তাহলে ড্যাটাবেসের অর্থ কি?
ড্যাটাবেস দুটি পূর্ণার্থ নিয়ে গঠিত । একটি হল ড্যাটা (Data) ও আরেকটি হল বেস (base) । ড্যাটা শব্দের অর্থ আমরা জানি আর 'বেস' মানে হল সমাবেশ ।
ড্যাটা ছাড়া আমরা কোন কিছুই ধরে রাখতে পারি না । কোন ফাইলই সুসজ্জিত রাখতে পারি না । তাহলে যটফট ড্যাটাবেস সম্পর্কে আবিধানিক কিছু তথ্য জেনে নিই ।
ড্যাটাবেসের সংজ্ঞাঃ কোন সিস্টেমে অনেকগুলো ড্যাটার সমাবেশকে সুসজ্জিত করে সাজানোকে সংক্ষেপে ড্যাটাবেস (Database) বলে । অর্থাৎ, অনেকগুলো ড্যাটা নিয়েই একটি ড্যাটাবেস তৈরী হয় ।
ড্যাটার প্রকারভেদঃ
ড্যাটা অনেক ধরণের হতে পারে । তার মধ্যে প্রধানত এটি তিন প্রকার । চিত্রে বিস্তারিত দেয়া হল,
ড্যাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ
একটি বইয়ের থাক (Shelf) এর কথা চিন্তা করুন । আগে চিত্রটি ভালো করে দেখুন তার পর নিচের লেখা গুলো পড়ুন ।
থাকটিতে দুটি সারিতে ১২টা করে মোট ২৪টি বই আছে । আরও খেয়াল করুন , বইগুলো সুশৃঙ্খল সারিতে সারিবদ্ধ আছে । ২টি সারিতে (raw) ১২টি কলাম (column) আছে । কলাম গুলোর ভিতরে সুসজ্জিত করে বই রাখা যায় । এখানে বইগুলো হল উপাদান । আর থাকটি (Shelf) হল বই রাখার থলে বা সহজে বলা যায় কন্টেইনার (Container) ।
ড্যাটাবেসের ভাষায় এই ঘটনাটি যদি বর্ণনা করি তবে বলা যায়, একটি টেবিলে ২টি সারি আছে, সারিগুলোর ভিতরে বই রাখার স্থানটিকে ফিল্ড (Database Field) বলে । আর এই টেবিলে ১২টি কলাম আছে । প্রত্যেকটি কলাম হল এট্রিবিউট (Attributes) । আমি নিশ্চিত আপনি বুঝেন নি , তাহলে নিচের টেবিলের তাকান,
প্রথমে জনপ্রিয় সব বই নিয়ে টেবিলটি সাজায় ।
টেবিল-১ঃ
দ্বিতীয় টেবিলে আমার যত্তসব প্রিয়গুলো নিয়ে টেবিল সাজায় ।
টেবিল-২ঃ
২টি টেবিলে ৫টি সারি ও ৬টি কলাম আছে । ড্যাটাবেসের ভাষায় এই প্রত্যেক সারিকে বলা হয়, RAW আর প্রত্যেক উলম্ব বরাবর কনটেন্ট গুলোকে বলা হয় , COLUMN । সারির প্রতিটা স্থানকে বলা হয় ফিল্ড (Filed) আর কলামের প্রতিটা স্থানকে বলা হয় এট্রিবিউট (Attributes) ।
এখন প্রশ্ন হল, সারি আর কলামের চিহ্নিত করা ফিল্ড আর এট্রিবিউট তো ঐ একটাই বুঝায় । যেমন, ১ম টেবিলের ২য় সারির তৃতীয় কলাম মানে টেবিলে "হাজার বছর ধরে" এটাকে বুঝায় । তবে এটাকে ফিল্ডও বলা হয় আবার এট্রিবিউটও বলা হয় । ব্যাপার কি?
আসলে যখন আমি ১টি সারিকে কল্পনা করবো তখন প্রত্যেকটি কনটেন্টকে বলা হয় ফিল্ড । যেমন যদি বলা হয়,
৩য় সারির ফিল্ডগুলো দেখাও তবে আপনি এরকমি দেখাবেন আশা করি !
সারির ভিতরে প্রত্যেকটি কন্টেন্টকে বলায় হয়, ফিল্ড । আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোনগুলো ফিল্ড?
আবার শুধু মাত্র যখন ১টি কলামকে কল্পনা করবো তখন এটার নাম এট্রিবিউট (Attribute) । আর যদি বলা হয় টেবিলের ৩য় কলামের এট্রিবিউটগুলো দেখাও তবে আপনি নিচের টেবিলটাই দেখাবেন,
কলামের ভিতরে প্রত্যেকটি কন্টেন্টকে বলা হয়, এট্রিবিউট । এখন আশা করি ক্লেয়ার হয়েছেন ।
প্রাইমারি কী (Primary Key) কি?
প্রথম টেবিলে খেয়াল করুন,
টেবিলে কলামগুলো এক একটি ক্যাটাগরিতে সাজানো । অর্থাৎ, কবিতা কলামের এট্রিবিউটটা শুধু মাত্র কবিতার বই বুঝানো হয়েছে । কবিতা হল প্রাইমারি কী (Primary Key) । আর তার ভিতরে প্রত্যেকটি এট্রিবিউটই তার নিজস্য কন্টেন্ট । অর্থাৎ, মোটা করে ক্যাটাগরির যে নামগুলোকে মার্ক করা আছে সেগুলোই প্রাইমারি কি । স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও কোন একটি টেবিলের প্রত্যেকটি কলামের উপরে একটি ক্যাটাগরির নামই দেয়া সম্ভব । যেমন,
টেবিল-১ এ,
টেবিল-২ এ,
ফরেন কী (Foreign Key) কি?
উপরের দুটি টেবিলে আবার খেয়াল করুনতো? দেখুন, ১ম টেবিলের "গল্প" প্রাইমারি কী-টি ২য় টেবিলেও বিদ্যমান । ১ম টেবিলে যেহেতু "গল্প" কলাম তৈরী করা হয়েগেছে তাই ২য় টেবিলে তা নতুন করে তৈরী করার দরকয়ার নেই । শুধু মাত্র প্রথম টেবিলের "গল্প" কলামটিকে ২য় টেবিলে এসাইন (Assign) করে দিলেইতো হল । একে বলা হয় ফরেন কী । অর্থাৎ, এই কী-টা অন্য কোন টেবিল থেকে হুবহু নেয়া ।
টেবিল -১ এ,
ড্যাটাবেস দুটি পূর্ণার্থ নিয়ে গঠিত । একটি হল ড্যাটা (Data) ও আরেকটি হল বেস (base) । ড্যাটা শব্দের অর্থ আমরা জানি আর 'বেস' মানে হল সমাবেশ ।
ড্যাটা ছাড়া আমরা কোন কিছুই ধরে রাখতে পারি না । কোন ফাইলই সুসজ্জিত রাখতে পারি না । তাহলে যটফট ড্যাটাবেস সম্পর্কে আবিধানিক কিছু তথ্য জেনে নিই ।
ড্যাটাবেসের সংজ্ঞাঃ কোন সিস্টেমে অনেকগুলো ড্যাটার সমাবেশকে সুসজ্জিত করে সাজানোকে সংক্ষেপে ড্যাটাবেস (Database) বলে । অর্থাৎ, অনেকগুলো ড্যাটা নিয়েই একটি ড্যাটাবেস তৈরী হয় ।
ড্যাটার প্রকারভেদঃ
ড্যাটা অনেক ধরণের হতে পারে । তার মধ্যে প্রধানত এটি তিন প্রকার । চিত্রে বিস্তারিত দেয়া হল,
ড্যাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ
একটি বইয়ের থাক (Shelf) এর কথা চিন্তা করুন । আগে চিত্রটি ভালো করে দেখুন তার পর নিচের লেখা গুলো পড়ুন ।
চিত্রঃ বইয়ের থাক |
↺ Read more | ইন্টারনেট কি (What is Internet) ?
প্রথমে জনপ্রিয় সব বই নিয়ে টেবিলটি সাজায় ।
টেবিল-১ঃ
সায়েন্স ফিকশান | কাব্য | উপন্যাস | কবিতা | সনেট | গল্প |
---|---|---|---|---|---|
কেপলার ২২বি | বনফুল | হাজার বছর ধরে | সঞ্চিতা | কাকলী | ঠাকুরমার ঝুলি |
টুকুনজিল | জুলেখা | আমার বন্ধু রাসেদ | সঞ্চয়িতা | গীতপুষ্প | বনিক মামা |
অনিক লুম্বা | গীতাঞ্জলী | গেরিলা | পাগলা দাসু | রাঙাফুল | ছোট্ট ছেলের দল |
ট্রিনিত্রি রাশিমালা | সঞ্জয়িতা | মৃত্যুর আগে | সুমেরু | পদ্মা | পাগলা মামা |
দ্বিতীয় টেবিলে আমার যত্তসব প্রিয়গুলো নিয়ে টেবিল সাজায় ।
টেবিল-২ঃ
খাবার | জায়গা | খেলা | টিভি সিরিজ | ফল | গল্প |
---|---|---|---|---|---|
চিকেন বিরিয়ানি | শ্রীমঙ্গল বিটিআরসি | ফুটবল | গল্প নয় সত্যি | আম | ঠাকুরমার ঝুলি |
আলু ভর্তা | সুন্দরবন | হকি | হাতেম তাই | খেঁজুর | বনিক মামা |
মাটন বিরিয়ানি | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত | ক্রিকেট | বিগব্যাগ | লিচু | ছোট্ট ছেলের দল |
কাচ্চি বিরিয়ানি | মাধবকুণ্ড | বাস্কেটবল | জমজ | আপেল | পাগলা মামা |
২টি টেবিলে ৫টি সারি ও ৬টি কলাম আছে । ড্যাটাবেসের ভাষায় এই প্রত্যেক সারিকে বলা হয়, RAW আর প্রত্যেক উলম্ব বরাবর কনটেন্ট গুলোকে বলা হয় , COLUMN । সারির প্রতিটা স্থানকে বলা হয় ফিল্ড (Filed) আর কলামের প্রতিটা স্থানকে বলা হয় এট্রিবিউট (Attributes) ।
এখন প্রশ্ন হল, সারি আর কলামের চিহ্নিত করা ফিল্ড আর এট্রিবিউট তো ঐ একটাই বুঝায় । যেমন, ১ম টেবিলের ২য় সারির তৃতীয় কলাম মানে টেবিলে "হাজার বছর ধরে" এটাকে বুঝায় । তবে এটাকে ফিল্ডও বলা হয় আবার এট্রিবিউটও বলা হয় । ব্যাপার কি?
আসলে যখন আমি ১টি সারিকে কল্পনা করবো তখন প্রত্যেকটি কনটেন্টকে বলা হয় ফিল্ড । যেমন যদি বলা হয়,
৩য় সারির ফিল্ডগুলো দেখাও তবে আপনি এরকমি দেখাবেন আশা করি !
অনিক লুম্বা | গীতাঞ্জলী | গেরিলা | পাগলা দাসু | রাঙাফুল | ছোট্ট ছেলের দল |
---|
সারির ভিতরে প্রত্যেকটি কন্টেন্টকে বলায় হয়, ফিল্ড । আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোনগুলো ফিল্ড?
আবার শুধু মাত্র যখন ১টি কলামকে কল্পনা করবো তখন এটার নাম এট্রিবিউট (Attribute) । আর যদি বলা হয় টেবিলের ৩য় কলামের এট্রিবিউটগুলো দেখাও তবে আপনি নিচের টেবিলটাই দেখাবেন,
উপন্যাস |
---|
হাজার বছর ধরে |
আমার বন্ধু রাসেদ |
গেরিলা |
মৃত্যুর আগে |
কলামের ভিতরে প্রত্যেকটি কন্টেন্টকে বলা হয়, এট্রিবিউট । এখন আশা করি ক্লেয়ার হয়েছেন ।
↺ Read more | এনিমেশন কি ! (What is Animation) ?
প্রথম টেবিলে খেয়াল করুন,
টেবিলে কলামগুলো এক একটি ক্যাটাগরিতে সাজানো । অর্থাৎ, কবিতা কলামের এট্রিবিউটটা শুধু মাত্র কবিতার বই বুঝানো হয়েছে । কবিতা হল প্রাইমারি কী (Primary Key) । আর তার ভিতরে প্রত্যেকটি এট্রিবিউটই তার নিজস্য কন্টেন্ট । অর্থাৎ, মোটা করে ক্যাটাগরির যে নামগুলোকে মার্ক করা আছে সেগুলোই প্রাইমারি কি । স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও কোন একটি টেবিলের প্রত্যেকটি কলামের উপরে একটি ক্যাটাগরির নামই দেয়া সম্ভব । যেমন,
টেবিল-১ এ,
সায়েন্স ফিকশান | কাব্য | উপন্যাস | কবিতা | সনেট | গল্প |
---|
টেবিল-২ এ,
খাবার | জায়গা | খেলা | টিভি সিরিজ | ফল | গল্প |
---|
ফরেন কী (Foreign Key) কি?
উপরের দুটি টেবিলে আবার খেয়াল করুনতো? দেখুন, ১ম টেবিলের "গল্প" প্রাইমারি কী-টি ২য় টেবিলেও বিদ্যমান । ১ম টেবিলে যেহেতু "গল্প" কলাম তৈরী করা হয়েগেছে তাই ২য় টেবিলে তা নতুন করে তৈরী করার দরকয়ার নেই । শুধু মাত্র প্রথম টেবিলের "গল্প" কলামটিকে ২য় টেবিলে এসাইন (Assign) করে দিলেইতো হল । একে বলা হয় ফরেন কী । অর্থাৎ, এই কী-টা অন্য কোন টেবিল থেকে হুবহু নেয়া ।
টেবিল -১ এ,
গল্প |
---|
ঠাকুরমার ঝুলি |
বনিক মামা |
ছোট্ট ছেলের দল |
পাগলা মামা |
টেবিল-২ এ,
গল্প |
---|
ঠাকুরমার ঝুলি |
বনিক মামা |
ছোট্ট ছেলের দল |
পাগলা মামা |
আশা করি আপনি ড্যাটাবেসের কিছু বিষয় ক্লেয়ার হয়েগেছেন । আগামি টিউনে ড্যাটাবেস নিয়ে আর থাকবে । ধন্যবাদ ।